করোনাকালীন কোন কোন দেশে যেতে পারবে বাংলাদেশীরা!!!
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশীদের যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। খুব জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ ফ্ল্যাইটে নানা দেশে যাতায়াত করছেন। কবে স্বাভাবিক হবে এ পরিস্থিতি? এটি নির্ভর করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির ওপর।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং ভ্রমন সহ নানা কাজে ভারত যেত। কিন্তু এই মহামারির কারনে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সবগুলো বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ রাখা হয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি মময় থেকে দেশের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন ঘোষনা আসেনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিদেশিদের আগমনের জন্য তাদের বিমান চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের।
শুধু বাংলাদেশই নয়, আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়াও এই তালিকায় নেই। বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে:
- যেসব দেশে করোনায় আক্রমনের হার কম। অর্থাৎ যেসব দেশে এক লাখ মানুষের মধ্যে 16 জনের কম সংক্রমিত হয়েছে সেসব দেশের নাগরিকদের ভ্রমনর অনুমতি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
- যে সব দেশে আক্রমনের হার নিচের দিকে।
- যেসব দেশে সামাজিক দূরত্বের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছ
#সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্বল্প সময়ের জন্য যারা সিঙ্গাপুর ভ্রমন করতে চান তাদের জন্য একটি উপায় আছে।
যারা জরুরি ব্যবসা কিংবা অফিসিয়াল কাজে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাদের জন্য রয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটিকে বলা হয় গ্রিন/পাস্ট লেন অ্যারিঞ্জমেন্ট। এর আওতায় একটি সেফ ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। এটি ছাড়া সিঙ্গাপুরে ঢোকা যাবে না। এছাড়া সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ বিশেষ অনুমোদন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য সেখানে যাওয়া যাবে।
যেসব বিদেশী নাগরিক স্বল্প সময়ের জন্য সিঙ্গাপুর সফর করবেন তাদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়র ওয়েবসােইডে।
১৭ জুন থেকে যারা সিঙ্গাপুরে যাবেন তাদের জন্য সেঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সফরকারীকে টেস্টের খরচ বহন করতে হবে।
#থাইল্যান্ড যারা ব্যবসার কাজে যাবেন তাদের
অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা চিকিৎসার জন্য যাবেন তাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে থাইল্যান্ড। এর পাশাপাশি রয়েছে দক্ষ কর্মী এবং
বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী।
যারা থাইল্যান্ড যাবেন তাদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯
মুক্ত সনদ থাকতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই
শর্ত মেনে থাইল্যান্ড ভ্রমনের জর্ন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এরই মধ্যে ৫০ হাজার
মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছে। বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ প্রতি বছর পর্যটনের জন্য
থাইল্যান্ড যায়। তবে দেশটি আপাতত পর্যটন ভিসা দিচ্ছে না।
#মালয়েশিয়া শুধু পর্যটনের জন্য বিদেশ থেকে এখন
যাওয়া বন্ধ আছে। বর্তমানে স্পাউস, বিজনেস এবং প্রফেশনাল ভিসায় মালয়শিয়া যাওয়া
যাবে। তবে যাওয়ার আগে সংশ্লিস্ট দেশে মালয়শিয়া দূতাবাসের কাছ থেকে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র দিয়ে আনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
মালয়েশিয়া ঢোকার আগে বিমানবন্দরে তাদের অব্যশই
কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ দেখাতে হবে। যদি সেটি না থাকে তাহলে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে
কোভির-১৯ টেস্ট করাতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৫ হাজার টাকা লাগবে।
বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের বিমান চলাচল এরই
মধ্যে শুরু হয়েছে। বাংলাধেশ বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে ঢাকা থেকে লন্ডন যাতায়াতের
ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মুক্ত সনদের প্রয়োজন নেই। তবে একটি হেলথ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ
কতে হবে। লন্ডন পৌছানো পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনার মহামরি শুরুর আগে
যারা ভিসা পেয়েছিলেন তারাই এখন যেতে পারছেন। অতি প্রয়োজন না হলে মরামারির এই সময়
নতুন ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের
নাগরিকদের জন্য কোনো বিধি-নিষেধ নেই। ঢাকা থেকে যেসব এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালু করেছে
তাদের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যাবে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের েএকটি সূত্র
জানিয়েছে, করোনারভাইরাস মহামারির সময় নতুন কোন ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে না। যাদের
পুরানো ভিসা আছে শুধু তারাই ভ্রমণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং ভ্রমন সহ নানা কাজে ভারত যেত। কিন্তু এই মহামারির কারনে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সবগুলো বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ রাখা হয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি মময় থেকে দেশের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন ঘোষনা আসেনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিদেশিদের আগমনের জন্য তাদের বিমান চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের।
শুধু বাংলাদেশই নয়, আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়াও এই তালিকায় নেই। বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে:
যারা জরুরি ব্যবসা কিংবা অফিসিয়াল কাজে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাদের জন্য রয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটিকে বলা হয় গ্রিন/পাস্ট লেন অ্যারিঞ্জমেন্ট। এর আওতায় একটি সেফ ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। এটি ছাড়া সিঙ্গাপুরে ঢোকা যাবে না। এছাড়া সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ বিশেষ অনুমোদন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য সেখানে যাওয়া যাবে।
যেসব বিদেশী নাগরিক স্বল্প সময়ের জন্য সিঙ্গাপুর সফর করবেন তাদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়র ওয়েবসােইডে।
১৭ জুন থেকে যারা সিঙ্গাপুরে যাবেন তাদের জন্য সেঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সফরকারীকে টেস্টের খরচ বহন করতে হবে।
Comments
Post a Comment